ক্রীড়া
আজ থেকে ক’য়েক যুগ পূর্বে আমোদ স্ফুর্তি ও মুক্ত জীবন মানুষকে যথেষ্ট আনন্দ দিতো। ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাটমিন্টন এসব খেলা তখনও আসেনি। তখন ছিল হা-ডু-ডু, ডাংগুলি, কুস্তি, শরীরচর্চা প্রভৃতি দেশীয় খেলা। তৎকালে বমু বিলছডি অঞ্চলে যে সমস্ত খেলা প্রচলিত ছিল, তার মধ্যে বলি খেলা, গরু-মহিষ লড়াই, তম্বুরু খেলা, দড়িখেলা, ঘিলাখেলা, জোড়-বিজোড় খেলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। কিন্তু বর্তমান শিশু-কিশোরদের রুচি পরিবর্তনের ফলে দেশীয় খেলাধুলার প্রতি আকর্ষণ কমে গেছে। আরো সহজভাবে বলতে গেলে বাঙালী খেলাধুলা এখন সম্পূর্ণ বিলুপ্তির পথে। তাই একালের ছেলে মেয়েরা সেকালের খেলাধুলার প্রতি সম্পূর্ণ অপরিচিত। ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাটমিন্টন, দাবা, টেনিস ইত্যাদি আধুনিক খেলা এখন তাদের নিত্য সঙ্গি।
কৈয়ারবিল ফুটবল খেলার প্রচলন শুরু হয় সত্তর দশক থেকে। নববই দশক থেকে শুরু হয় ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলা। প্রতি বৎসর খোজাখালী, ছোয়ালিয়া পাড়া, কৈয়ারবিল, ইসলামনগর, নয়া পাড়া খোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাটমিন্টন ইত্যাদি খেলার প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে কৈয়ারবিল উচ্ছ বিদ্যালয় মাঠে কোন ফুটবল, ক্রিকেট বা ব্যাটমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হলে যে পরিমাণ দর্শক উপস্থিত হয় তা অন্য কোন ইউনিয়নে সচরাচর দেখা যায় না। কৈয়ারবিল ইউনিয়নে খেলাধুলার অনুকূল পরিবেশ থাকার পরও আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতা এবং আধুনিক মান-সম্মত মাঠের অভাবে স্থানীয় মেধাবী খেলোয়াড়রা জেলা কিংবা জাতীয় লীগে খেলার যোগ্যতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যারা সারাদিন খেলাধুলা এবং হেসে খেলে বেড়াতো অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থানের তাড়নায়, খেলাধুলা আজ তাদের কাছে অনেকটা বিলাসিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS